এই শীতে আবহাওয়ার খেয়ালীপনায়, ঠান্ডাই তেমন পড়লনা। তাই, ফুল ভাল হলনা।
তার ওপর বেজি-পরিবার খুব বেশী উৎসাহী হয়ে বাগানে নানা দিকে মাটি খুঁড়তে লাগল নানা জায়গায়, তাতে ছোট চারার ক্ষতি হল খুব। কোন ভাবেই তাদের নিরস্ত করতে না পেরে শেষে কাঁটা ডাল ছড়িয়ে দিতে হল Bed এর চারদিকে। এতে শেষ ওবধি তারা ক্ষান্ত হল।
বুলবুলি পাখি ফুলের কুঁড়ি, কচি পাতা, কুটকুট করে ভেঙ্গে দিয়েছে। কেন জানিনা। কোনবারই এমন হয়নি। তাদের থেকে চারা বাঁচাতে ছোট ছোট লাঠির আগায় সাদা প্লাস্টিক বেঁধে রেখে কিছুটা আটকানো গেছে।
এত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও জিয়ারুল যে সুন্দর করে বাগানটা সাজিয়ে তুলেছে- সেটা ওরই কৃতিত্ব। আর ওর সাথে সাহায্য করেছি আমরা- আমি, মামনি, কমলদা। কমলদা বাগানটা পরিস্কার করে দিয়েছে ঘাস-টাস তুলে।
এখন দেখি কোন ফুল কেমন হল...।
জিয়ারুল দিয়েছিল এই চারাগুলো, ভালই হয়েছে। 6-7 রকম রঙ এসেছে। এক-একটা গাছে প্রায় 80-100 টার মত ফুল হয়েছে। যদিও চন্দ্রমল্লিকা ঠিকঠিক পরিচর্যা পেলে তাতে আরো ফুল হয়, কিন্তু আমি এতেই খুশী।
এতে এখনো ফুল আসেনি।
বেশ ভাল হয়েছে। বৈঠকখানা বাজারে দিবাকরের থেকে চারা এনেছিলাম। 3-4 টে রঙ এসেছে। গাছও বেড়েছে ভালই।
ভাল হয়েছে। বেশ অনেক রঙ এসেছে। যে গুলো বড় ফুলের গাছ, তাতে বেশ বড় ফুল হয়েছে। এই চারাগুলো জিয়ারুলের থেকে কিনেছি।
খুবই ভাল হয়েছে। গোছের চারা কিনে বসানো হয়েছে। অনেক রঙ এসেছে। এই চারাগুলো জিয়ারুলের থেকে কিনেছি।
এবার এই ফুল মূলতঃ সাদা আর হলুদের রঙে হয়েছে। দেখতে আগের বারের থেকে অন্যরকম হলেও সুন্দর লাগছে।
গোছের গাছ, বৈঠকখানা বাজারে দিবাকরের থেকে চারা এনেছিলাম। সবে ফুল সুরু হয়েছে। ভাল।
খুব সুন্দর ফুল হয়েছে। ভাই এর সাথে শিখরপুর গিয়ে এনেছিলাম, আর গড়িয়াহাট থেকে এনেছিলাম দুটো। তার একটার ফুল হলনা। রাহী তো Lilium এর ফুল দেখে এত খুশী হয়েছে যে এখন থেকে Lilium এর জন্য টাকা জমাচ্ছে।
গাঁদা এবার তুলনায় ভাল হয়নি। 4-5 টা গাছ পোকায় নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাই Pruning করা হয়নি, ফুল তাই কম হয়েছে। কিন্তু বড় হয়েছিল বেশ।
অনেক দেরীতে বসানো, তেমন যত্ন পায়নি, তাই তত ভাল হয়নি। ফুল কম হয়েছে।
ভাল হয়েছে। এবার কম গাছ কিনেছি। পাখিতে খুব অত্যচার করেছে, এদের ওপর, তাও অনেক ফুল হচ্ছে, রঙও অনেক রকম।
ভাল হয়েছে বেশ। গাছ ঝাঁপিয়ে ফুল হয়েছে। 4-5 রকম রঙ এসেছে। পাখির অত্যাচারটা কম হলে আরো ফুল হত।
দু-বছর আগে সব গোলাপ প্রায় একসাথে চলে যাওয়ায় , ঠিক করেছিলাম, বছর - দুই গোলাপ লাগাবনা। তাই এবার এতদিন বাদে গোলাপ আনলাম। খুব সুন্দর গোলাপ হয়েছে এবার। কিছু গাছ এনেছিলাম- শিখরপুর থেকে, ভাই এর সাথে গিয়ে, আর কিছু এনেছি দিবাকর- বৈঠকখানা বাজার থেকে। সূর্য- তো বাগানে নামতেই চায়না, সেও বাগানে নেমে নিজে নিজে ছবি তুলছে গোলাপের। এই সিঁদুর লাল গোলাপটা ওর সব থেকে পছন্দের।
যে যে জায়গায় রোদ পেয়েছে , সেখানে ঝাঁপিয়ে ফুল হয়েছে। খুব সুন্দর হয়েছে। ভারি মিষ্টি গন্ধ।
ভাল হয়নি। গোছের চারা। মোটে দুটো গাছ হয়েছে। তারা সাধ্যমত ফুল দিচ্ছে।