Navigation

Sunday, January 12, 2014

দাগিগলা কাঠকুড়ালি


যে নতুন পাখিটার নাম কাল দিতে পারিনি, net এ খুঁজে দেখলাম তার নামটা ভারি মজার- দাগিগলা কাঠকুড়ালি, Streak-throated Woodpecker. Scientific name: Picus xanthopysaeus.
এটা বাংলাদেশের খুব দুর্লভ আবাসিক পাখি। এটা মেয়ে পাখি। ছেলে পাখির মাথায় লাল রঙের টানা দাগ থাকে। এরটা কালো।এরা গাছের কান্ড বা পুরোনো কাঠ ইত্যাদি থেকে খাবার সংগ্রহ করে। পোকা- উই, গোবরে পোকা, পিঁপড়ে এই সব খায়। ফুলের মধু, ফলের রসও খায়।
বাগানে ঠক ঠক আওয়াজের সাথে একটা অন্য রকম পাখির ডাক শুনে আমি চুপিচুপি গিয়েছিলাম ছবি তুলতে। তাই তো এর দেখা পেলাম। এর ডাক খুব তিক্ষ্ণ। কুয়িম্প…। জানুয়ারি- জুন মাসের মধ্যে এদের প্রজনন ঋতু। এই সময় এরা ফাঁপা বাঁশ বা গাছের ফাঁপা ডালে আঘাত করে ড্রাম বাজানোর মতো আওয়াজ করে। তাই বোধহয় ও ওর প্রেমিক কে ডাকছিল। দারুন হয় যদি ওরা আমাদের বাগানে বাঁশ গাছে বাসা করে।

এই সব তথ্য গুলো পেলাম একটা বাংলা দেশের ব্লগ থেকে। আমার বাগান টা একটু জংলা মতো, আর পাসের জমিটাতে ও বাড়িনেই, পোড়ো মত, তাই আমি অনেক পাখি দেখতে পাই। তবে সব সময় যে তারা আমাকে ছবি তোলার অবসর দেয় তা নয়। 

বাগানের টুকিটাকি

খুব সুন্দর একটা লাল গোলাপ ফুটেছে, ছবিটা দিলাম তোমাদের। এই গোলাপ গুলো শিখরপুর থেকে আনা। এই ক-দিনে গাছগুলো বেশ দাঁড়িয়ে গিয়েছে।




চন্দ্রমল্লিকাও ফুটছে অনেক। গাছগুলো ছোট কিন্তু বেশ কতগুলো নানা ধরনের ফুল ফুটেছে।


কাল একটা নতুন পাখি বাগানে এসেছিল, নাম জানিনা, কাঠঠোকরার মতো পুরোনো, কাঠ ঠুকছিল।













বেজি গুলো ভারি ঝামেলা করছে, গাছের তলার মাটি খুড়ে ফেলছে, নানা জায়গায়, শেষ অবধি বগনভলিয়া, আর Parrot Beak এর কাঁটা ডাল মাটির উপর দিতে সেখানে উৎপাত বন্ধ করেছে। Pansy র মাটিতে কাঁটা ডাল।

আম গাছে কসাই পাখি।