চন্দ্রমল্লিকা
শীতকালে ভাল ফুল পেতে চাইলে এখনই মাটি তৈরী করুন।
শুকনো মাটি গুঁড়ো করে তাতে চুন দিয়ে এক সপ্তাহ রাখুন। মাটি থেকে ঘাস আগাছা বেছে ফেলেতে হবে।
তারপর সেই মাটিতে গোবর সার বা ভার্মিকম্পোস্ট ভাল করে মেশাতে হবে। এই ভাবে কিছুদিন (দশ- বারো দিন) রেখে তাতে সরষের খোল, হাঁড় গুড়ো, শিং কুচি, নিম খোল, সামান্য সুপার ফসফেট মিশিয়ে দিন। একটি আট ইঞ্চি টবের মাটিতে এই মাপ হবে-
চুন- 1 চামচ
গোবর সার/ ভার্মিকম্পোস্ট- 100 গ্রাম
হাঁড় গুড়ো , শিং কুচি- 2 চামচ
সরষের খোল- 6 চামচ
নিম খোল- 1 মুঠি
সুপার ফসফেট- 1 চামচ
যদি মাটিতে আঠালো ভাব বেশী থাকে, তবে 1 ভাগ লাল বালি মিশিয়ে নেবেন।
এই মাটি তৈরী করে কোনো শুকনো জায়গায় বা বস্তায় ভরে রাখুন। বস্তার মুখ খুলে রাখতে হবে মাটিতে হাওয়া লাগতে হবে অবশ্যই।
নিজেই তৈরী করা যায় জৈব-সার
ধইঞ্চা বা ধঞ্চে (Sesben- Sesbania resban)
সবুজ সার- ধইঞ্চা বা ধঞ্চে (Sesben- Sesbania resban) :- মাটিতে যারা গাছ করবেন বর্ষায় ছড়িয়ে দিন ধইঞ্চার দানা। এই গাছের শিকড় নাইট্রোজেন ধরে রাখে মাটিতে। ফলে ইউরিয়া মেশানোর দরকার হয়না পরে।
ধইঞ্চা গাছের বয়স 30/40 দিন পর- কচি অবস্থায় ফুল আসার আগে, কেটে ফেলতে হয়। বড় জমিতে- জল দিয়ে গাছ পঁচিয়ে,মাটিতে মিশিয়ে দিতে হয়।কম জায়গায়, গাছ কেটে মাটিতে মিশিয়ে দিতে হয়।তাড়াতাড়ি পঁচানোর জন্য সুপার ফসফেট ও ব্যবহার করা যায়। এক বছর ধইঞ্চা চাষ করলে পরের বছর না করলেও চলবে।
সব্জীর খোসা:-বাগানে
জায়গা থাকলে এককোনে গর্ত করে সব্জীর খোসা ইত্যাদি ফেলতে হবে।আগাছা ঝরা পাতা ইত্যাদি ফেলে তার উপর হালকা করে
কাঁচা গোবোর দিয়ে মাটি ছড়িয়ে দিতে হবে। শুধু মাটিও ছড়িয়ে দেওয়া যায়। ছ-মাস থেকে এক
বছরে প্রচুর সার তৈরী হয়ে যাবে।
চা-পাতা:- চা তৈরীর পর পাতা না ফেলে জমিয়ে রাখুন। ঢাকা পাত্রে বা জমিতে গর্ত করে পাতা জমান- এই সার গাছের পক্ষে খুব উপকারী।
ডিমের খোলা- ডিমের খোলা চা-পাতার সাথে জমিয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিলে গাছের ক্ষেত্রে ক্যালসিয়ামের কাজ করে।
রোজকার রান্না ঘরের ফেলে দেওয়া ভাতের মাড়, ছানার জল ঠান্ডা করে- এবেলারটা ওবেলায় দিতে হবে, মাছ,মাংস ধোয়া জল গাছের পক্ষে খুব ভাল সার।
পানার সার:- কাছাকাছি কোনো পুকুর বা ডোবাতে কচুরীপানা হলে বাগানে গর্ত করে পানা পঁচাতে পারলে খুব ভাল সার তৈরী হবে।