ঘরোয়া গাছ-গাছালি নিয়ে বাংলায় লেখালেখি করার একটা ইচ্ছে আমার অনেকদিনের, আমি যখন একটুকরো বাগান করবো বলে ভেবেছিলাম, তখন বাংলাতে খুব কিছু পাইনি। ইংরাজিতেও অনেক হাতড়াতে হয়েছে। কারণ Net-এ যে তথ্য পাওয়া যায়, তার বেশিরভাগই বিদেশের আবহাওয়াকে মাথায় রেখে, সেই তথ্য অনুসারে এখানে কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই এই প্রচেষ্টা। পরিচয়টা প্রথমে দিয়ে নি- আমি- শমিতা ঘোষ চক্রবর্তী। সোনারপুরে থাকি।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রন্থাগারিক, ইংরাজি বিভাগে। রাহী-আমার মেয়ে, সূর্যকান্ত চক্রবর্তী- আমার স্বামী, এই আমাদের খুশির সংসার।
Tuesday, December 17, 2013
আকাশমনি গাছে মৌচাক
বাগানের পাশে রাস্তার ধারে আকাশমনি গাছে (নাম:-Earleaf
Acacia.
বৈজ্ঞানিক
নামঃ-Acacia auriculiformis) মৌমাছিরা মৌচাক বেঁধেছে, বেশ কিছুদিন হল। আকাশমনি গাছ এ দেশি নয়। বলা হয়, এই গাছের শিকড় নাকি মাটির ভিতরে জলের স্তর নামিয়ে দেয় অনেকখানি। দ্রুত বনসৃজনের উদ্দেশে, বনদপ্তর থেকে এই গাছ লাগানো হয়েছে অনেক জায়গায়।যাই হোক আমার বাগানের পাশে, এই গাছটাতে মৌমাছিরা চাঁক বাঁধে প্রতিবার। ভাবতে ভাল লাগে, এর মধুতে হয়তো আমার বাগানের সুগন্ধ রয়েছে।শতদল পদ্মে ফুল ফুটেছে, সেখানে অনেক প্রজাপতি আর মৌমাছি। খুব সুন্দর গন্ধ এ ফুলের, মধুও অনেক। তাই তো মৌ-লোভীদের এত আনাগোনা !
আজও বেজির ছবি তুলেছি। একাই ঘুরছিল। আমি Camera তাক করাতে, প্রথমে অবাক হয়ে আমাকে দেখল, তারপর তুরতুর করে পালাল। এবার শীতে এরা বড় বেশী দুষ্টমি করছে, গাছের উপর দিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে, ছোট ছোট চারা গাছগুলো দিচ্ছে ভেঙ্গে।
আজ বুলবুলি পাখির ছবি তুলেছি। আম গাছে ছিল, পরে মেহগনি গাছে এসে বসল। খুব চঞ্চল এরা, কিছুতেই স্থির ভাবে বসেনা। তাই ছবি তুলতেই পারিনা। আজ পেরেছি। একটা ডালে বসে, অন্যটা ওড়ার তালে। মেহগনি গাছটার ডাল শীতকালে কেটে দিই। এখানে মাটির জোর কম। গাছ ছোট থাকলে, বর্ষায় পড়ে যাবেনা, আর এখন কাটলে, শুকনো পাতা পড়ে বাগান নোংরা হবেনা।
Subscribe to:
Posts (Atom)