Navigation

About Me


ঘরোয়া গাছ-গাছালি নিয়ে বাংলায় লেখালেখি করার একটা ইচ্ছে আমার অনেকদিনের, আমি যখন একটুকরো বাগান করবো বলে ভেবেছিলাম, তখন বাংলাতে খুব কিছু পাইনি। ইংরাজিতেও অনেক হাতড়াতে হয়েছে। কারণ Net-এ যে তথ্য পাওয়া যায়, তার বেশিরভাগই বিদেশের আবহাওয়াকে মাথায় রেখে, সেই তথ্য অনুসারে এখানে কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই এই প্রচেষ্টা।

পরিচয়টা প্রথমে দিয়ে নি- আমার নাম- শমিতা ঘোষ চক্রবর্তী। সোনারপুরে থাকি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রন্থাগারিক, ইংরাজি বিভাগে

রাহী-আমার মেয়ে, সূর্যকান্ত চক্রবর্তী- আমার স্বামী, এই আমাদের খুশির সংসার।

আমাদের বাড়ির বাগানটাই আমার আকাশ। বড় ভালোবাসার। মা ফ্ল্যাটের ছোট্ট বারান্দাতেই আমাকে আকাশে ওড়ার এই স্বপ্নটা দেখিয়েছিলেন। যেখানে আমার ছোটবেলা কেটেছে সেই বাগবাজারে- গ্যালিফ স্ট্রীটের ফ্ল্যাটের চৌহদ্দিতে অনেক গাছ ছিল। সকলের ভিতর ভালোবাসা ছিল। সেই সুন্দর মানুষগুলির মতো গাছগুলিও বড় আপনার ছিল। আমাদের বারান্দার পাদিয়ে উঠেছিল মাধবীলতার ঝাড়, ছিল শিউলি, টগর এইসব। খুব নামিদামি কিছু নয়, একটা কৃষ্ণচুড়া গাছও ছিল। এরাই আমাকে কখন যেন একটা স্বপ্নের কাজল দিয়ে দিয়েছিল - আমি তখন থেকেই ভাবতাম যখন আমার নিজের কোনও বাড়ি হবে, বাড়িটা ছোট হোক্‌, কিন্তু তার সাথে থাকবে এক টুকরো আকাশ-‘আমার বাগান’।

যে যে গাছ আমার এই বাগানে আছে, এখানে শুধু সেই গাছগুলির কথাই আমি বলেছি। আর দু-একটা গাছের কথাও আছে যারা এখন আমার কাছে নেই, কিন্তু তাদের ভালোবাসার স্পর্শটুকু গেছে রেখে।

এইসব গাছেদের বাংলা নামগুলো সব আমার জানা নেই, তাই সব জায়গাতে দিতে পারলাম না। কেউ যদি নামগুলি জানাতে পারেন, খুব ভালো লাগবে।

গাছগুলি আমি মুল শ্রেণি অনুযায়ী ভাগ করেছি- Shrubs, Bulbous, Vines & Creepers, Water/ Bog Plants.

Cacti/ Succulents, Orchids, Indoor Plants, Annuals এই বিষয়গুলি আমি এখন বাদ দিচ্ছি, পরে এগুলো নিয়ে আলাদা করে লিখব। এখানে শুধু সেই গাছগুলি দিলাম-যাদের ছবি আমি তুলেছি, আর আমার বাগানে আছে বা ছিল।

পরিচয়
মাঃ- আমার মা মায়া ঘোষ। মা বাংলায় এম.এ করেছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, মেডিক্যাল কলেজে সিনিয়ার নার্স ছিলেন, এখন অবসরে।

বাবাঃ- আমার বাবা ডঃ শঙ্কর কুমার ঘোষ। বাবা বহরমপুর- কৃষ্ণনাথ কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।

ভাইঃ- ডঃ শমীক ঘোষ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের অধ্যাপক।

জিয়ারুলঃ- আমার ছোট ভাই এর মতো। আমার বাগান ওই দেখেশুনে রাখে।

মামনিঃ- সব গাছেরা ওকে খুব ভালবাসে, কেননা ওই জল দিয়ে ওদের বাঁচিয়ে রাখে।

আইভিঃ- আইভি আদক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের গ্রন্থাগারিক। আমার খুব ভাল বন্ধু।
 
সুখেন্দু মেশোমশাইঃ- সুখেন্দু রায় চৌধুরী, প্রতিবেশী। আমার গাছ বন্ধু।

রশ্মিঃ- রশ্মি বসু। আমার গাছ বন্ধু। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজির প্রাক্তন ছাত্রী। 

কাজলদিঃ- আমার খুব প্রিয় দিদি। আমরা খুব আনন্দের একটা ছোটবেলা কাটিয়েছি। দিদিও গাছ খুব ভালবাসে, যেখানেই যায়, আমার জন্য গাছ আনে। 

No comments: