Navigation

Monday, December 22, 2014

শীতের ফুল - 2014/15 Winter Annuals in Bengal

সবুজ চন্দ্রমল্লিকা
এই বছর শীতের ফুলের জন্য মাটি তৈরী করার সময় মাটি ভাল করে কুপিয়ে তাতে চুন ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চুন দিয়ে এক সপ্তাহ রাখার পর - তাতে জৈব সার ছড়িয়ে দিয়েছি। সার দু-চার দিন রাখার পর আবার ভাল করে মাটি কুপিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এবার চারা এসেছে সব 1ইঞ্চি pot এ । তাই বালিতে না রেখে বেশীরভাগ চারা একবারেই মাটিতে বসে গিয়েছে।
ফুল ও এসেছে তাই অনেক আগে।
এবার বেজিতে চারা না তুলে দিলেও , পাখিতে খুব ক্ষতি করছে। ফুল কেটে দিচ্ছে- পাতা কাটছে - নানা উপদ্রব।


যে যে গাছে এখন পর্যন্ত শীতের মরশুমী ফুল এসেছে-




Chrysanthemum-

এই চারা গুলো জিয়ারুল আমাকে দিয়েছে "রাখি" তে । খুব সুন্দর সব রঙ এসেছে। একটা সবুজ চন্দ্রমল্লিকাও আছে।  এবার বড় চন্দ্রমল্লিকাও লাগিয়েছি। ফুল আসতে সুরু করেছে।










 Dog flowers, Snapdragon-

 সবে ফুল আসছে।



















 Gazania- 

ফুল ফুটতে আরম্ভ করেছে। তবে ছুটি থাকলে তবেই এই ফুলটা দেখতে পাই, এ পাপড়ি মেলে ধরে বেলা 10টা তে আর বুজে যায় বেলা 3 টে তে।











 Marigold, Inka- 

 এবার বড় চারা আসাতে ভয় ছিল- ফুল বুঝি বড়  হবেনা- কিন্তু ফুল ভালই হয়েছে।













 Impatiens- 

 এই গাছও জিয়ারুল আমাকে "ভাইফোঁটাতে" দিয়েছে।  ভারি সুন্দর সব রঙ এসেছে। কিন্তু পাখিতে ফুল নষ্ট  করছে অনেক।













 Pansy- 

 ভাল রঙ এসেছে- প্রজাপতি ভেবে পাখি ফুল কাটছে খুব।
 :(












 Sweet William-

 ভাল রঙ হয়েছে। সব গুলোই আলাদা আলাদা রঙের। 


















 Verbena- 

 অনেক রঙ এসেছে।











শীতের মরশুমী ফুল ছাড়াও আর যা যা ফুল ফুটেছে-




 Bromeliad- 

 গ্যালিফ স্ট্রীট থেকে এনেছিলাম- ফুল সহ।



















 Hibiscus- 

 জবা, অনেক রকম ফুটেছে। অস্ট্রেলিয়ান জবাও ফুটেছে এবার।


















 Orchid Catteleya- 

 গড়িয়াহাট থেকে এনেছিলাম গাছটা। ফুল এসেছে।













 Rose- 

 গতবাররের মত না হলেও , কিছু ফুল ফুটেছে।



















 Tuberose- 

 ডবল রজনীগন্ধা- ভারি সুন্দর হয়েছে।

Sunday, March 16, 2014

গোলাপ- Rose Cultivation in India


আজ গোলাপ নিয়ে কিছু কথা বলব, কিন্তু এত কিছু গোলাপ নিয়ে বলার আছে যে একবারে সবদিক নিয়ে আলোচোনা করা সম্ভব নয়, তাই পরপর কয়েকটি POST এ বলব।
গোলাপের আদিকথা

পৃথিবির প্রচীনতম প্রিয় ফুলটির নাম- হয়তো গোলাপ। সাড়ে তিন কোটি বছর আগের ফসিলেও গোলাপকে পাওয়া গিয়েছে। এরকম অনেক ফসিল Olgocene -এ(নবজীবীয় স্তরে) পাওয়া গেছে। এগুলো রাখা আছে Colorado, North America তে।
বহু প্রচীন সভ্যতার ছবিতে আমরা গোলাপকে পাই। খৃষ্টপূর্ব আড়াই হাজার বছর আগেও চিন ও ব্যাবিলনে গোলাপের চাষ হত। প্রাচীন মিশরেও পাই গোলাপের কথা। ইজিপ্টে গোলাপ চাষ হত। রানী ক্লিওপেট্রাও ভালবাসতেন গোলাপ।
প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যে গোলাপের উল্লেখ নেই। গোলাপ ভারতে এসেছে মুঘলদের হাত ধরে। তাঁরাই এখানে গোলাপের চাষ সুরু করেন।
গোলাপের 200 রকম জাতি, 2000 প্রজাতি পাওয়া যায়। গোলাপের Family  name – Rosaceae  যা Plums, apples, pears, strawberries এরই সমগোত্রীয়
এখন, নানা রকম Hybrid গোলাপ পাওয়া যায়। তাদের রঙের বাহারও অনেক।  লাল, গোলাপী, হলুদ, সাদা- আর এই রঙগুলির নানা মিশেলেও পাওয়া যায় প্রায় 2000-2500 রকমের গোলাপে। এখন নতুন Hybrid গোলাপে এত বর্ণ বৈচিত্র থাকলেও সুগন্ধ প্রায় নেই। পুরোনো দামাস্কাসের গোলাপের মনকাড়া সুবাসেই গোলাপের আসল কদর।  

গোলাপের মাটি তৈরি

গোলাপ টবের মাটি ও টব-

গোলাপ চারা বসানোর জন্য 8-10 ইঞ্চি ব্যাসের টব লাগবে। পরে গাছ যেমন বড় হবে টবের মাপ বাড়াতে হবে।
বেলে বা দোঁ-আঁশ মাটি গোলাপের জন্য ভাল। না পেলে মোটা বালি কিছুটা মিশিয়ে নিতে হবে।
মাটি –     10 ভাগ
গোবর সার-  3 ভাগ
পাতাপচা সার- 3 ভাগ
মোটা বালি-   ½ ভাগ
এর সাথে –
শিং কুচি- 1 চা চামচ
হাড় গুড়ো-1 চা চামচ
মিশ্র সার- 1 মুঠি
চুন-     1 চা চামচ
এই ভাবে মাটি তৈরি করে সম্ভব হলে 1 মাস অপেক্ষা করতে হবে। যদি চারা এনেই টবে বসাতে হয়, তবে   সরষের খোল মিশ্র থেকে বাদ দিতে হবে, তার জায়গায় নিমখোল দিতে হবে। চুন ও দেওয়া যাবেনা।
এখন Cocopit বেরিয়েছে, নারকোল ছোবড়ার গুড়ো, তা দিয়েও মাটি হালকা করা যায়। অনেক গোলাপ এখন তুষের ভিতর করে দোকান থেকে আমাদের কাছে আসে, ঐ ধরনের গাছের শিকড় থেকে তুষ গুলি ঝেড়ে ফেলে মাটিতে আগে বলা অন্য মিশ্রন গুলির সাথে Cocopit মিশিয়ে দেওয়া ভাল।
টবের নিচে বড় ছিদ্র থাকতে হবে। ভাঙ্গা টবের টুকরো দিয়ে সেগুলো ডেকে দিতে হবে। কাঠ কয়লার একটা হালকা স্তর দিতে পারলে ভাল হয়।
তারপর কিছুটা মাটি ভর্তি করে চারা টবের মাঝখানে বসাতে হবে। এরপর বাকি মাটি দিয়ে টব ভরাট করতে হবে। টবের উপর ½ ইঞ্চি মতো খালি রাখতে হবে।
গাছ বসানোর পরে অবশ্যই খুব ভালো করে জল দিতে হবে।

গোলাপের Bed তৈরি-

গোলাপের Bed  এর জন্য মাটি তৈরির নিয়ম আগের মতোই, তবে Bed এর মাটি চারা বসানোর অন্তত 15-20 দিন আগে তৈরি করলে ভাল হয়। আর Bed থেকে আগাছা ইত্যদি ভাল করে তুলে ফেলতে হবে। মাটি ভাল করে কুপিয়ে তাতে চুন ও ফিরুডন ছড়িয়ে 10 দিন রেখে দিতে পারলে ভাল হয়। Bed টা বাগানের জমি থেকে কিছুটা উঁচু করতে পারলে ভাল হয়।
প্রতিটি চারাগাছের চার পাশে 2 ফুট করে জায়গা রাখতে হবে।


গোলাপের চারা বসানোর সময় যে যে বিষয়গুলি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে- 

১।Grafting করা চারা হলে Grafting এর অংশটি অবশ্যই যেন মাটির উপর থাকে। কারন নীচের বুনো গাছটি সবসময় চেষ্টা করে সেখান থেকে ডাল-পালা ছাড়তে, সেই ডাল গুলিকে 'এলা-ডাল' বলে।
এগুলিকে ঠিক যেখান থেকে উঠছে সেখান থেকে কেটে দিতে হয়, সাবধানে, নয়ত আসল গাছটি মরে যায়। ছবিতে মাটি থেকে একটা এলা ডাল উঠতে দেখা যাচ্ছে।এই ডালগলি সাত-পাতার হয়, ছোট-ছোটো পাতা ও খুব হালকা সবুজ রঙের হয়।

২। যে চারা বসানো হচ্ছে তার 'গুল' শিকড়ের চারপাসের মাটি খুব শক্ত থাকতে হবে, নয়তো চারা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

৩। গাছটি বসানোর সময় তাতে যেন কোন রোগ-পোকা না থাকে।





Saturday, March 8, 2014

মধু গন্ধে ভরা

আমের মুকুল এসেছে, আমাদের পল্লীর প্রায় প্রতি বাড়িতেই আম গাছ। তাই ভোরের গন্ধটাই গিয়েছে পালটে- আমের মুকুলের সৌরভ চার দিকে ভেসে বেড়াচ্ছে। সন্ধ্যা বেলাতে তো যেন নেশা লেগে যায়, এমনই মাদকতা। 
মুকুল অবশ্য বেশ কিছুদিন হল এসেছে- আমি একুটু দেরি করে ফেলেছি জানাতে।
পাখি আর মৌমাছিরা খুব ব্যস্ত, বসন্ত আসছে- ডাকাডাকি ওড়াউড়ি করেই যাচ্ছে। কোকিল ডাকছে খুব। Camera -তে ধরতে পারলে ছবি তুলে পাঠাবো। 





Australian Hibiscus- মানে জবা এখনো ফুটছে। 












গরমের Pitunia, আর সূর্যমুখী লাগিয়েছি। আইভি চারাগুলো দিয়েছে।


 এই গরমের মধ্যেও নতুন করে চন্দ্রমল্লিকা ফুল দিয়েছে-কিছু , খুব ভাল লাগছে।
কিছু সব্জিও লাগিয়েছি। দেখি কেমন হয়।
বেগুন চারা।

Saturday, February 15, 2014

ফিরে দেখা শীতের ফুল 2014



 2013 তে খুব বৃষ্টি হয়েছে, আট বার পুরো জলে ডুবেছে বাগান। এর ফলে গাছেরতো ক্ষতি হয়েইছে, মাটিও শুকিয়েছে দেরীতে, গাছ বসাতেই দেরী হয়েছে তাই অনেক। তার ওপর
এই শীতে আবহাওয়ার খেয়ালীপনায়, ঠান্ডাই তেমন পড়লনা। তাই, ফুল ভাল হলনা। 
তার ওপর বেজি-পরিবার খুব বেশী উৎসাহী হয়ে বাগানে নানা দিকে মাটি খুঁড়তে লাগল নানা জায়গায়, তাতে ছোট চারার ক্ষতি হল খুব। কোন ভাবেই তাদের নিরস্ত করতে না পেরে শেষে কাঁটা ডাল ছড়িয়ে দিতে হল Bed এর চারদিকে। এতে শেষ ওবধি তারা ক্ষান্ত হল। 
বুলবুলি পাখি ফুলের কুঁড়ি, কচি পাতা, কুটকুট করে ভেঙ্গে দিয়েছে। কেন জানিনা। কোনবারই এমন হয়নি। তাদের থেকে চারা বাঁচাতে ছোট ছোট লাঠির আগায় সাদা প্লাস্টিক বেঁধে রেখে কিছুটা আটকানো গেছে। 
এত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও জিয়ারুল যে সুন্দর করে বাগানটা সাজিয়ে তুলেছে- সেটা ওরই কৃতিত্ব। আর ওর সাথে সাহায্য করেছি আমরা- আমি, মামনি, কমলদা। কমলদা বাগানটা পরিস্কার করে দিয়েছে ঘাস-টাস তুলে। 
এখন দেখি কোন ফুল কেমন হল...।


জিয়ারুল দিয়েছিল এই চারাগুলো, ভালই হয়েছে। 6-7 রকম রঙ এসেছে। এক-একটা গাছে প্রায় 80-100 টার মত ফুল হয়েছে। যদিও চন্দ্রমল্লিকা ঠিকঠিক পরিচর্যা পেলে তাতে আরো ফুল হয়, কিন্তু আমি এতেই খুশী। 


 এতে এখনো ফুল আসেনি।


বেশ ভাল হয়েছে। বৈঠকখানা বাজারে দিবাকরের থেকে চারা এনেছিলাম। 3-4 টে রঙ এসেছে। গাছও বেড়েছে ভালই।

ভাল হয়েছে। বেশ অনেক রঙ এসেছে। যে গুলো বড় ফুলের গাছ, তাতে বেশ বড় ফুল হয়েছে। এই চারাগুলো জিয়ারুলের থেকে কিনেছি।
 

খুবই ভাল হয়েছে। গোছের চারা কিনে বসানো হয়েছে। অনেক রঙ এসেছে।  এই চারাগুলো জিয়ারুলের থেকে কিনেছি।








Gazania
এবার এই ফুল মূলতঃ সাদা আর হলুদের রঙে হয়েছে। দেখতে আগের বারের থেকে অন্যরকম হলেও সুন্দর লাগছে। 
গোছের গাছ, বৈঠকখানা বাজারে দিবাকরের থেকে চারা এনেছিলাম। সবে ফুল সুরু হয়েছে। ভাল।


Lilium, Bateman'sLily
খুব সুন্দর ফুল হয়েছে। ভাই এর সাথে শিখরপুর  গিয়ে এনেছিলাম, আর গড়িয়াহাট থেকে এনেছিলাম দুটো। তার একটার ফুল হলনা। রাহী তো Lilium এর ফুল দেখে এত খুশী হয়েছে যে এখন থেকে Lilium এর জন্য টাকা জমাচ্ছে।

গাঁদা এবার তুলনায় ভাল হয়নি। 4-5 টা গাছ পোকায় নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাই Pruning  করা হয়নি, ফুল তাই কম হয়েছে। কিন্তু বড় হয়েছিল বেশ।

অনেক দেরীতে বসানো, তেমন যত্ন পায়নি, তাই তত ভাল হয়নি। ফুল কম হয়েছে।

ভাল হয়েছে। এবার কম গাছ কিনেছি। পাখিতে খুব অত্যচার করেছে, এদের ওপর, তাও অনেক ফুল হচ্ছে, রঙও অনেক রকম।




Pansy -Small
দেশী Pansy  ভাল ফুল দিচ্ছে।
Petunia
ভাল হয়েছে বেশ। গাছ ঝাঁপিয়ে ফুল হয়েছে। 4-5 রকম রঙ এসেছে। পাখির অত্যাচারটা কম হলে আরো ফুল হত।
দু-বছর আগে সব গোলাপ প্রায় একসাথে চলে যাওয়ায় , ঠিক করেছিলাম, বছর - দুই গোলাপ লাগাবনা। তাই এবার এতদিন বাদে গোলাপ আনলাম। খুব সুন্দর গোলাপ হয়েছে এবার। কিছু গাছ এনেছিলাম- শিখরপুর থেকে, ভাই এর সাথে গিয়ে, আর কিছু এনেছি দিবাকর- বৈঠকখানা বাজার থেকে। সূর্য- তো বাগানে নামতেই চায়না, সেও বাগানে নেমে নিজে নিজে ছবি তুলছে গোলাপের। এই সিঁদুর লাল গোলাপটা ওর সব থেকে পছন্দের।


যে যে জায়গায় রোদ পেয়েছে , সেখানে ঝাঁপিয়ে ফুল হয়েছে। খুব সুন্দর হয়েছে। ভারি মিষ্টি গন্ধ। 

ভাল হয়নি। গোছের চারা। মোটে দুটো গাছ হয়েছে। তারা সাধ্যমত ফুল দিচ্ছে।

Saturday, February 8, 2014

শীতের ফুলের ছবি


আমার বাগানের শীতের ফুলের ছবি। 


সেদিন ফেরিওয়ালা যে সুরটি বাজিয়ে যাচ্ছিল , সেই সুরটিই আছে এখানে।এবার গোলাপ ভাল হয়েছে। শীত তেমন করে না পড়ায়, Cineraria এখনো ফোটেনি। কাল Alipur Horticulture এ Flower Show দেখতে গিয়েছিলাম, আমি আর আইভি। আমি Lily Bulb, Camelia, আর Orchid কিনেছি। শীতের ফুলের সব ছবি এখানে দেওয়া গেল না।
 তাই Picasa link দেখুন : Siter Phul 2014


বেজির খুনসুটি-- দুষ্টু বেজিগুলো আমার ফুল গাছ গুলোর ওপর এবার বড়ই অত্যাচার করেছে। তাই নানা জায়গায়, কাঁটাডাল বিছিয়ে দিয়েছি। 




Sunday, January 26, 2014

শীতের ফুল 2014

শীতের ফুল 2014




বাগানে ফুল ফুটেছে অনেক। গত শীতে আরো ফুল হয়েছিল, এবার আবহাওয়ার খামখেয়ালীতে তেমন ফুল হলনা। তাও আমার বাগানের গাছেরা আমাকে খুব ভালবাসে, তাই অনেক প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে ওরা সেজে উঠেছে, অপরূপ রূপে। এই Video টা যখন আমি তুলছিলাম, রাস্তা দিয়ে ভারি মিস্টি একটা সুর বাজিয়ে গেলেন এক ফেরিওয়ালা, আর পাখিরাও ডাকছিল তাদের সঙ্গীদের। এত সুন্দর এক আবহ তৈরী হল যে মনে হল প্রকৃতি তার গানের সুর নিজেই ছড়িয়ে দিল।



ফুলের নাম আর পরিচয় জানতে দেখুন আমার অন্য Blog গাছের গল্প Gacher Golpo

Sunday, January 12, 2014

দাগিগলা কাঠকুড়ালি


যে নতুন পাখিটার নাম কাল দিতে পারিনি, net এ খুঁজে দেখলাম তার নামটা ভারি মজার- দাগিগলা কাঠকুড়ালি, Streak-throated Woodpecker. Scientific name: Picus xanthopysaeus.
এটা বাংলাদেশের খুব দুর্লভ আবাসিক পাখি। এটা মেয়ে পাখি। ছেলে পাখির মাথায় লাল রঙের টানা দাগ থাকে। এরটা কালো।এরা গাছের কান্ড বা পুরোনো কাঠ ইত্যাদি থেকে খাবার সংগ্রহ করে। পোকা- উই, গোবরে পোকা, পিঁপড়ে এই সব খায়। ফুলের মধু, ফলের রসও খায়।
বাগানে ঠক ঠক আওয়াজের সাথে একটা অন্য রকম পাখির ডাক শুনে আমি চুপিচুপি গিয়েছিলাম ছবি তুলতে। তাই তো এর দেখা পেলাম। এর ডাক খুব তিক্ষ্ণ। কুয়িম্প…। জানুয়ারি- জুন মাসের মধ্যে এদের প্রজনন ঋতু। এই সময় এরা ফাঁপা বাঁশ বা গাছের ফাঁপা ডালে আঘাত করে ড্রাম বাজানোর মতো আওয়াজ করে। তাই বোধহয় ও ওর প্রেমিক কে ডাকছিল। দারুন হয় যদি ওরা আমাদের বাগানে বাঁশ গাছে বাসা করে।

এই সব তথ্য গুলো পেলাম একটা বাংলা দেশের ব্লগ থেকে। আমার বাগান টা একটু জংলা মতো, আর পাসের জমিটাতে ও বাড়িনেই, পোড়ো মত, তাই আমি অনেক পাখি দেখতে পাই। তবে সব সময় যে তারা আমাকে ছবি তোলার অবসর দেয় তা নয়। 

বাগানের টুকিটাকি

খুব সুন্দর একটা লাল গোলাপ ফুটেছে, ছবিটা দিলাম তোমাদের। এই গোলাপ গুলো শিখরপুর থেকে আনা। এই ক-দিনে গাছগুলো বেশ দাঁড়িয়ে গিয়েছে।




চন্দ্রমল্লিকাও ফুটছে অনেক। গাছগুলো ছোট কিন্তু বেশ কতগুলো নানা ধরনের ফুল ফুটেছে।


কাল একটা নতুন পাখি বাগানে এসেছিল, নাম জানিনা, কাঠঠোকরার মতো পুরোনো, কাঠ ঠুকছিল।













বেজি গুলো ভারি ঝামেলা করছে, গাছের তলার মাটি খুড়ে ফেলছে, নানা জায়গায়, শেষ অবধি বগনভলিয়া, আর Parrot Beak এর কাঁটা ডাল মাটির উপর দিতে সেখানে উৎপাত বন্ধ করেছে। Pansy র মাটিতে কাঁটা ডাল।

আম গাছে কসাই পাখি।

Wednesday, January 1, 2014

শিশির কথা


শিশির কথা

সে ছিল
আকাশ আর মাটির মাঝখানে 
এক ফোঁটা রাত শিশির।
তাই যখন রোদ উঠল
সে ঘাসের বুকে নিজেকে মিশিয়ে দিল।

বাতাস মেঘ আর ঝাউ-এর 
শরীর পিছলে সকাল আসার আগে
সে তা জানেনি। 

আর তাই
রূপালি জ্যোৎস্নায়
সেই শিশিরের দেহে
ঘনিষ্ট হয়েছে সমুদ্রের ঘ্রাণ-
রূপকথা, আর জলছবি।
তাই যখন রোদ উঠল
সে ঘাসের বুকে নিজেকে মিশিয়ে দিল-

তার আগে, 
প্রথম রোদের ডানায়
সে এঁকে দিল সাতরঙ
ছটফটে চড়ুই আর দোয়েলের গান।

আকাশ আর মাটির মাঝখানে
সে ছিল একফোঁটা রাত শিশির।