আমার বাগানের শীতের ফুলের প্রথম হাসিটুকু তোমাদের দিলাম।
এবার আবহাওয়া খুব খামখেয়ালি, শীত তো তেমন নেই, বৃষ্টিও হয়েছে-আগে অনেক। ফলে সেভাবে শীতের গাছ তার
পছন্দের পরিবেশ পাইনি, ফুল তাই এবার খুব ভাল হবেনা। তাও ওরা আমাকে ভালবাসে খুব। নতুন ফুলে সেজে উঠছে
আমার বাগান। তোমাদের দিলাম, সেই রেশটুকু।
ঘরোয়া গাছ-গাছালি নিয়ে বাংলায় লেখালেখি করার একটা ইচ্ছে আমার অনেকদিনের, আমি যখন একটুকরো বাগান করবো বলে ভেবেছিলাম, তখন বাংলাতে খুব কিছু পাইনি। ইংরাজিতেও অনেক হাতড়াতে হয়েছে। কারণ Net-এ যে তথ্য পাওয়া যায়, তার বেশিরভাগই বিদেশের আবহাওয়াকে মাথায় রেখে, সেই তথ্য অনুসারে এখানে কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই এই প্রচেষ্টা। পরিচয়টা প্রথমে দিয়ে নি- আমি- শমিতা ঘোষ চক্রবর্তী। সোনারপুরে থাকি।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রন্থাগারিক, ইংরাজি বিভাগে। রাহী-আমার মেয়ে, সূর্যকান্ত চক্রবর্তী- আমার স্বামী, এই আমাদের খুশির সংসার।
Monday, December 30, 2013
Friday, December 27, 2013
প্রথম আলো
আজ বড় সুন্দর দিন। ভালো লাগছে খুব।
গত শুক্রবার খুব একটা অদ্ভুত বা মজার ব্যাপার হয়েছে।
এই সকাল আটটা নাগাদ , বাগানে শুনলাম খুব পাখির কিচিমিচি। আমি বেরিয়ে দেখলাম, অনেক কাক মিলে খুব ডাকাডাকি করছে। উড়ে বেড়াছে না না ডালে, ভাবলাম ওদের মিটিং বসেছে, কিন্তু মজাটা হল, শুধু কাক নয়, আরও সব পাখি, বুলবুলি, দোয়েল, কসাই, ফিঙে সব, সব পাখি মিলে খুব ডাকাডাকি করছে। এ ডাল ও ডাল উড়ছে- কিছু বুঝতে পারলাম না। মনে হল যদি ওদের ডাক গুলোর মানে বুঝতে পারতাম ! কিন্তু না এই অতৃপ্তি তো আমাদের সাথি। প্রকৃতির আত্মা থেকে আমরা অনেক দূরে।
...
Tuesday, December 17, 2013
আকাশমনি গাছে মৌচাক
বাগানের পাশে রাস্তার ধারে আকাশমনি গাছে (নাম:-Earleaf
Acacia.
বৈজ্ঞানিক
নামঃ-Acacia auriculiformis) মৌমাছিরা মৌচাক বেঁধেছে, বেশ কিছুদিন হল। আকাশমনি গাছ এ দেশি নয়। বলা হয়, এই গাছের শিকড় নাকি মাটির ভিতরে জলের স্তর নামিয়ে দেয় অনেকখানি। দ্রুত বনসৃজনের উদ্দেশে, বনদপ্তর থেকে এই গাছ লাগানো হয়েছে অনেক জায়গায়।যাই হোক আমার বাগানের পাশে, এই গাছটাতে মৌমাছিরা চাঁক বাঁধে প্রতিবার। ভাবতে ভাল লাগে, এর মধুতে হয়তো আমার বাগানের সুগন্ধ রয়েছে।শতদল পদ্মে ফুল ফুটেছে, সেখানে অনেক প্রজাপতি আর মৌমাছি। খুব সুন্দর গন্ধ এ ফুলের, মধুও অনেক। তাই তো মৌ-লোভীদের এত আনাগোনা !
আজও বেজির ছবি তুলেছি। একাই ঘুরছিল। আমি Camera তাক করাতে, প্রথমে অবাক হয়ে আমাকে দেখল, তারপর তুরতুর করে পালাল। এবার শীতে এরা বড় বেশী দুষ্টমি করছে, গাছের উপর দিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে, ছোট ছোট চারা গাছগুলো দিচ্ছে ভেঙ্গে।
আজ বুলবুলি পাখির ছবি তুলেছি। আম গাছে ছিল, পরে মেহগনি গাছে এসে বসল। খুব চঞ্চল এরা, কিছুতেই স্থির ভাবে বসেনা। তাই ছবি তুলতেই পারিনা। আজ পেরেছি। একটা ডালে বসে, অন্যটা ওড়ার তালে। মেহগনি গাছটার ডাল শীতকালে কেটে দিই। এখানে মাটির জোর কম। গাছ ছোট থাকলে, বর্ষায় পড়ে যাবেনা, আর এখন কাটলে, শুকনো পাতা পড়ে বাগান নোংরা হবেনা।
Tuesday, December 10, 2013
আজ Lilium ফুটেছে।
বৈঠকখানা বাজার থেকে গোলাপ আনলাম। বেশ বড় গাছ। এগুলো বড় টবে করবো। এখন Varmi compost দিয়ে বসালাম। গাছ ধরে গেলে, অন্য সার দিতে হবে। বাগানের সারের Pit থেকে অনেক মাটি তোলা হয়েছে। ওখানে আমি রান্নাঘরের সব্জির খোসা, চা-পাতা, ডিমের খোলা, পাতা, ঘাস এইসব ফেলি। একবছর অন্তর তুলে নিলে খুব ভাল সার হয়। এই মাটিদিয়েই গোলাপ গাছের টব তৈরি করা হল।
শীতের ফুল যা যা লাগানো হলো............
Antirhinum আর Gladiolus গতবার শীতে লাগানো হয়নি, এবার লাগিয়েছি।
এর মধ্যে Cineraria পুরোপুরি ছায়ার গাছ। Impatiens হালকা ছায়ার গাছ। Lilum ও কড়া রোদ সহ্য করতে পারেনা। এছাড়া সব গাছে অনেক রোদ লাগে।Impatiens ফুটতে শুরু করে দিয়েছে।
Chondromollika তে কুঁড়ি এসেছে। শীত এসেছে, কত ফুল হবে বাগানে, খুব ভাল লাগছে।
Subscribe to:
Posts (Atom)